বৈশাখের চাঁদিফাটা গরমে আচমকা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে সিপিএম। তার প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে♚। এই ব্রিগেডকে সফল করতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না সিপিএম। এবার সিপিএমের এই ব্রিগেডের সভার আয়োজনকে ঘিরে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এক্স হ্যান্ডেলে একের পর এক পোস্ট করেছেন তিনি।
সেখানে তিনি লিখেছেন, জেনে রাখুন, সিপিএমের ব্রিগেডে যাঁরা যাবেন, তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবেন। মুখে শুধু বাতেলা। ওটা লোকদেখানো। ৯৯ শতাংশ কমরেড এখন রামরেড। সিপিএমের মিছিলে যাচ্ছেন দে♌খলেই বুঝবেন বিজেপির ভোটার। ভোটের অঙ্ক সেকথাই বলছে। আবার মিলিয়ে নেবেন।
অপর একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন,
‘সিপিএম নাকি ব্রিগেড ডেকেছে। যে কজন যাবেন, লাল পতাকা হাতে হাঁটবেন, যাঁদের ছবি দেখিয়ে কদিন ফেসবুকে হাঁকডাক করবেন ওঁরা; তাঁদের অধিকাংশই তো ব্রিগেড থেকে ফিরে ভোটের সময় বিজেপিকে ভোট দেবেন। সেই কারণেই তো সিপিএমের ভোট ৫ শতাংশেএ নেমেছে, বিজেপি তার সুবিধে নিয়েছে। ব্রিগেডে সিপিএমের সভা মানে বকলমে বিজে𝔍পির ভোটারদের পিকনিক। ব্রিগেডের মঞ্চের লম্ফঝম্ফ আর ভোটের শতাংশ তো আগেও মেলেনি। আবার ২০ তারিখের নাটক। সিপিএমের সভায় ব্রিগেডꦯ চলো আর বিজেপিকে ভোট দিতে ব্রিগেড থেকে ফেরো। মাঝখানে শুধু মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাতেলাবাজির প্রচার।’
কার্যত সিপিএম আর বিজেপির মধ্য়ে যে তলায় তলায়🅘 বোঝাপড়া রয়েছে তা নানা সময়ে তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আবার উলটো ℱদিকে সিপিএমের তরফে দাবি করা হয় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্য়েই রয়েছে এই সেটিং। তাঁদের কথায় দিদি মোদী সেটিং।
তবে সিপিএম অবশ্য তৃণমূলের কথায় কান দিতে বেশি রাজি নয়। সামনের বছর বিধানসভা ভোট। তার আগে একেবারে আগেভাগেই ময়দানে নেমে পড়েছে সꦛিপিএম। মানিকচকে বুধবার সম্প্রীতির মিছিলও করেছে বামফ্রন্ট। এরপর ব্রিগেডে সমাবেশ।
তবে তৃণমূলের অবশ্য় অন্য যুক্তি। তাদের দাবি. আসলে যারা লাল পতাকা নিয়ে ব্রিগেডে যান তাঁরা ফিরে এসে বিজেপিকে ভোট দেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিবার দেখা যায় সিপিএমের ব্রিগেডে ভিড় নেহাত কম ꩵহয় না। দলে দলে লোকজন আসেন। কিন্তু ভোটের ফলাফল বের হলে দেখা যায় শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছে সিপিএম। যে দল ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল তাদের কাছে এখন বিধানসভায় একটি আসনও নেই। তবে এবার শেষ পর্যন্ত এবার ব্রিগেডে কেমন ভিড় হয় সেটাই দেখার।