সমুদ্রে মাছ শিকারের উপর 🌠নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য মৎস্য দফতর। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সংগঠনগুলি মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। তবে তা বাড়ানো হয়নি। ওই ৬১ দিনই🦂 সমুদ্রে মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্য মৎস্য দফতর।
আরও পড়ুন: জেলমুক্তি হতে চল🧸েছে ৯৫ ভ꧃ারতীয় মৎসজীবীর, রবিবার হস্তান্তর করবে বাংলাদেশ
সাধারণত প্রতি বছর এই সময়ে মৎস্য শিকারের উপর নিষেধাꦚজ্ঞা জারি করে থাকে মৎস্য দফতর। এই সময় সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ চিঠি এবং ইমেল মারফত মৎস্যজীবীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও ট্রলার নির্দেশ অমান্য করে মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতে পারবে না। সেক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ট্রলারের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে। এর জন্য নজরদারি চালাবে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৬০ দিনের বদলে ৯০ দিন করার দাবি জানিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম। তাদের দাবি ছিল, এই সময়সীমা বাড়ালে সামুদ্রিক মাছের আকার আরও বড় হবে। তাছাড়া, মাছের সংখ্যাও বাড়বে। তার ফলে মৎস্যজীবীরা লাভবান হবে🎃ন। এদিকে, সমুদ্রে যেসব মৎস্যজীবীরা গিয়েছিলেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন। মৎস্যজীবীদের ট্রলারও ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন দিঘা শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস ।
অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের অ🔴ন্য একটি সংগঠন এই সময়সীমা বাড়িয়ে ১২০ দিন করার দাবি জানিয়েছিল। চিঠিতে তারা আরও জানিয়েছিল, ধ্বংসাত্মক এবং অনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে মাছ ধরার ফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরফলে ভারতীয় উপকূল বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের উপ🅘কূলে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে এই সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল।