🐻 আজ আইএসএল কাপ ফাইনালে খেলতে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আইএসএলের এই ট্রফি জয় হলে নিঃসন্দেহে সেটা বাংলার ফুটবলের অহঙ্কার এবং গরিমা বৃদ্ধি পাওয়াবে। কারণ গতবছর আইলিগ, আইএসএলে কলকাতার ক্লাবগুলো দুরন্ত খেলেছিল। এবারেও বাগান আইএসএল লিগ শিল্ড জিতেছে, এবার আইএসএল কাপ জয়ের লক্ষ্যে রয়েছে। এদিকে আইলিগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল গতকালই খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। যদিও এরই মধ্যে আজকের ম্যাচ নিয়ে শুরু হল বিতর্ক।
🃏জানা গেছে আইএসএলের তরফ থেকে অর্থাৎ আয়োজক এফএসডিএল বা এআইএফএফের পক্ষ থেকে এই ম্যাচ দেখতে আসার জন্য আমন্ত্রণই জানানো হয়নি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। শুধু তাই নয়,যে ক্লাবে তিনি বারবার যান সেই মোহনবাগান ক্লাবের তরফেও নাকি তাঁকে সরকারিভাবে কোনও আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি। একথা স্বীকার করে নিলেন মোহনবাগান কর্তা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ।
ཧকুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মোহনবাগান ভারতসেরা হয়ে গেছে, আরও একটা কাপ জেতার লক্ষ্যে নামছে। এফএসডিএলের তরফে আয়োজিত হচ্ছে খেলা, সেখানে মোহনবাগান খেলছে, আর সেখানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমনন্ত্রণ জানানো হবে না, সেটা চূড়ান্ত অসৌজন্যতা। এটা বিজেপির এআইএফএফ সভাপতি রাজনৈতিক অভব্যতার পরিচয়। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরোধিতা করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু তিনি দুঃখিত। কারণ তিনি আশা করেছিলেন পদমর্যাদার বিচারে মোহনবাগানের তরফ থেকেও সরকারিভাবে এই ম্যাচে আবেদন জানানো হবে। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানালাম, বা সচিব আমন্ত্রণ জানালো সেটা তো হয় না। তিনি মাঠে যাবেন না বলেছিলেন, তবে আমরা একপ্রস্থ কথা বলেছি। আবারও বলব।’
🎶ISL Final - MBSGর বিরুদ্ধে ভারতীয় ডিফেন্সে আস্থা BFC-র! জোড়া বিশ্বকাপারকে ফাইনালে আটকাতে পারবে তো?
꧙কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘এফএসডিএল কল্যাণ চৌবের কথা মতো ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদীতভাবে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আজকের ম্যাচে আহ্বান জানায়নি। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটা ম্যাচ হচ্ছে, আইএসএলের ফাইনাল। সেখানে বাংলার দল খেলছে, আর যেই দলই খেলুক না কেন। সেখানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, এটা হয় নাকি। পুুরোটাই কল্যাণ চৌবে ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। নিজে তো ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে জীবনে খেলেননি।’
🤪কলকাতায় ম্যাচের আগেই এভাবে যে মাঠের বাইরের কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়বে তা হয়ত ভাবা যায়নি। বাংলায় ম্যাচ হলে প্রশাসনের কাউকে সাধারণত বলা হয়। অন্তত ডুরান্ড কাপের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই ছবি দেখা যায়। অতীতে আইলিগ বা জাতীয় লিগের ক্ষেত্রেও দেশের রাজনৈতিক তারকাদের আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্বোধন বা সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। তাই ক্রীড়ামন্ত্রীকে না ডেকে তাঁর গায়ে স্রেফ রাজনৈতির পোস্টার সেঁটে দেওয়াটা হয়ত কল্যাণ চৌবে বা এফএসডিএলের উচিত হয়নি, মত রাজনৈতিকমহলের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।