নায়িকা, অভিনেত্রীদের মা হতে হলে কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিতে হয়। এই ধারণা ক্রমাগত যুগেই নিয়মেই বদলে গিয়েছে। মা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আবারও জমিয়ে কাজ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, এমন অভিনেত্রীর সংখ্যা এদেশে নেহাত কম নেই। করিনা কা♊পুর, আলিয়া ভাট সহ আরও অনেকেই রয়েছেন। তবে এবার বোধহয় এদের সকলকে ছাপিয়ে গেলেন অভিনেত্রী টলি অভিনেত্রী মানসী সেনไগুপ্ত!
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার ৯ মাস পর্যন্ত 'নিম ফুলের মধু' সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তারপর ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই সি-সেকশনের মাধ্যমে ২য় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মানসী। এদিকে মাতৃত্বের মাত্র ২০ দিনের মাথাতেই ফের কাজে ফিরেছেন তিনি। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? তবে একথা এক্কেবারেই সত্যি। কারণ মানসীর কথায়, তিনি নিজেকে কাজ থেকে ছুটি দিতে নারাজ। কারণ কাজই তাঁকে শান্তি দেয়। আর তꦿাই সদ্যোজাত পুত্রকে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন সেটে। কাজের ফাঁকেই খাওয়ানো, ঘ🤡ুম পাড়ানো সবই চলছে। যদিও এটা সিরিয়ালের শ্যুটিং ছিল না, ছিল ফটোশ্যুট।
আনন্দবাজারকে দেওয়া♑ এক সাক্ষাৎকারে মানসী সেনগুপ্ত জানান, তাঁর সি সেকশন হওয়ার চার দিন পর তিনি ছেলেকে নিয়ে নিজেই হাসপাতাল থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কারণ গাড়ি চালানোটা তাঁর কাছে চাপমুক্তির মতো। আর এত তাড়াতাড়ি কাজে ফিরেছেন কারণ কাজইꦬ মানসীকে শান্তি খুঁজে দেয়। তবে অভিনেত্রী সাফ জানান, এটা কারও সঙ্গে কোনও পাল্লা বা প্রতিযোগিতা নয়, তিনি কাজ করছেন, কারণ, তাঁর কোনও শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করে ১৫ কেজি ওজন কমিয়েও ফেলেছেন অভিনেত্রী। তবে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন যে তিনি সবটা করছেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
আবার এসবের পাশাপাশি ছেলেকে স্তন্যপানে অভ্যস্ত করাতে নারাজ মানসী। তাঁর কথায়, ‘আমি ছেলেকে স্তন্যপানে অভ্যস্ত করাচ্ছি না। কারণ এটা অভ্যেস করালে ও সেটা ছাড়া থাকতে পারবে না। এদিকে মায়ের দুধও দরকার সন্তানের। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুগ্ধ নিষ্কাশন ক🧸রে রাখি। তারপর আমি অথবা আমার পরিবারের অন্য কেউ সেটা ছেলেকে খাইয়ে দেয়। কারণ মাস কয়েক পরে এই অভ্যেস থাকলে আমি কাজে বেরোতে চাইলে আমাকে ছাড়তে চাইবে না। আ꧟মাকে সব দিক দেখতে হবে।'
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মানসী সেনগুপ♛্ত। ছেলের ডাক নাম দিয়েছেন গোল্লা। আর 🌞ভালো নাম দিয়েছেন অধ্যায়। এর আগে মানসীর একটি মেয়েও রয়েছে।