🦂 রাজ্য–রাজনীতিতে যখন একটা টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি করা গিয়েছে তখন বাংলায় অমিত শাহকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কিন্তু মার্চ মাসেও সেই চেষ্টা জলে যায়। এপ্রিল মাসে সম্ভাবনা তৈরি হলেও আপাতত তা ভেস্তে গেল। সুতরাং পর পর দু’বার অমিত শাহের বঙ্গ–সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের এখন মন ভার বলে সূত্রের খবর। পয়লা বৈশাখে অর্থাৎ নববর্ষে বাংলায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু সেই সফর আপাতত হচ্ছে না।
꧟অমিত শাহ বাংলায় আসুক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করুন সেটা চেয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কিন্তু সেটা হল না। যদিও অমিত শাহের সূচি শুধুমাত্র রাজনৈতিক ছিল না। কিন্তু তারপরও তা হচ্ছে না। এপ্রিল মাসের ১৪, ১৫ এবং ১৬ তারিখে বাংলায় আসার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু সেই সফর স্থগিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ নববর্ষ। বাংলার নতুন বছরে মানুষের মনে উৎসবের মেজাজ থাকে। সেদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিলে মানুষের মনে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই স্থগিত রাখলেন বঙ্গ–সফর। মার্চ মাসের ২৯ তারিখ বাংলায় আসার কথা ছিল শাহের।
আরও পড়ুন: শহরজুড়ে আজ মিছিল–ফুটবল ম্যাচ–শোভাযাত্রা রাজপথে, ট্রাফিক আপডেট নিয়ে বের হন
মার্চ মাসেও আসেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩০ মার্চ বিজেপির একটি সাংগঠনিক বৈঠকেও যোগ দেওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু ইদ পড়ে যাওয়ায় সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার পয়লা বৈশাখেও আবার সফর স্থগিত করলেন অমিত শাহ। শেষবার ঝটিকা সফরে এসেছিলেন শাহ। সেটাও মার্চ মাসের আগে। শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সেনা বলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ✨সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে সেনা বলের ভূমিকা তুলে ধরেছিলেন তিনি তখন। অমিত শাহ তখন বলেছিলেন, ‘যেভাবে এসএসবি সক্রিয় হয়েছে সেদিক থেকে বলা যেতে পারে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন করা সম্ভব হয়েছে শুধু তাদের হাত ধরেই।’
বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালে বাংলায় সফরে এসে কড়া বার্তা দিয়ে যাক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কারণ এখন বেশ কয়েকটি ইস্যু তৈরি হয়েছে। ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল, পুলিশ লাথি মেরেছে শিক্ষককে, মোথাবাড়ি হিংসা, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা রাজ্য সরকারের—এইসব নিয়ে শাহের বক্তব্য প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কিন্তু এমন তপ্ত জমিতে পা রাখলেন না শাহ। পরে অবশ্যই আসবেন। তখন এইসব ইস্যু স্তিমিত হয়ে যাবে না তো? প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মনে।